নিহত কিশোরী নাতনি শারমিন আক্তার
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকরা ইউনিয়নের হাজিয়ান ষ্টেশন এলাকায় সৎ নানীর বিরুদ্ধে কিশোরী নাতনি শারমিন আক্তার (১৬) নামের এক ছাত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন কিশোরীর পরিবার। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও ঘটনাটি জানাজানি হয় এদিন দুপুরে ওই কিশোরীর মরদেহ চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে আনার পর।
এলাকাবাসি জানায়, কিশোরী শারমিন আকতার উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চা-বাগান গ্রামের মৃত কশোমিয়া মেয়ে। নিহতের মা সাজেদা বেগম জীবিকার তাগিদে বর্তমানে কাতার প্রবাসি। কিশোরী শারমিন থাকতো চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের নানার বাড়িতে সৎ নানী ছকিনা খাতুনের তত্তাবধানে। ছকিনা খাতুন কাকরা ইউপির হাজিয়ান ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকার আবু ছৈয়দ মাঝির স্ত্রী।
শনিবার বিকালে চকরিয়া হাসপাতালে নিহতের ফুফি শাহেনা আকতার ও দাদী লায়লা বেগম দাবি করেন, শারমিনের মা সাজেদা স্বামীর মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে কাতারে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। এঅবস্থায় কিশোরী শারমিনকে পড়ালেখা করানোর নাম দিয়ে সৎনানী ও মামারা তাকে নানার বাড়িতে নিয়ে যায়।
তাঁরা বলেন, কয়েকদিন ধরে শারমিন আমাদেরকে (দাদী ও ফুফিকে) ফোন করে বলেছিল নানার বাড়ী থেকে তাকে নিয়ে আসতে। কারণ সৎ নানী ও মামারা তাকে প্রতিনিয়ত শাররিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। এ ধরণের কথা বলতে না বলতে শনিবার দুপুরে শারমিনের মৃত্যূ খবর শুনে হাসপাতালে এসে দেখি তাঁর লাশ। নিহতের গলায় আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ফুফি শাহেনা আকতার ও দাদী লায়লা বেগম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী। তিনি বলেন, কিশোরী শারমিনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। আলামত হিসেবে তাঁর গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার সদস্যরা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, মাদরাসায় পড়ুয়া এক কিশোরীর লিাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে শুনে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে কিভাবে তার মুত্যু হয়েছে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের পরে বিস্তারিত বলা যাবে।##
পাঠকের মতামত: